ডুম



ডুম মানে ধ্বংস। কেয়ামত।
আমার চারপাশে স্টুপিড লোকজন ভর্তি, সারাদিন এদের জ্বালায় অতিষ্ট হই, আর মনে মনে বলি তোরা ধ্বংস হ।
শান্তির ব্যাপার হলো, পৃথিবী ডেফিনিটলি ধ্বংস হবে, একসময় না একসময় হবেই। বিজ্ঞান ধর্ম সবাই এই ব্যাপারে একমত।
আমার একটা বই আছে, কফি টেবিল বুক অভ ডুম। এই বইটা হাতে নিলে একটু শান্তি পাই। পৃথিবী ধ্বংসের কত উপায় ও কি কি ডিটেইল বলা আছে ওইখানে।

আজকে ডিটেইল লেখার মুড নাই, পরে কোনোদিন ২য় পর্ব বের করলে লিখবো। সব কিছু ধ্বংস করার মুডে আছি। কি কি উপায়ে পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে একনজর দেখে আসি।

১। পুরে ছাই হয়ে: ৬-৭০০ কোটি বছর পর সূর্য যখন লাল দানব হবে, এমনতেই পৃথিবী পুরে কয়লা হয়ে যাবে। সূর্যের পেটের ভিতর একবারে ঢুকে যাওয়ারও চান্স অনেক। ওইসময় পৃথিবীতে যারা বসে বায়স্কোপ দেখার চেষ্টা করবে একটাও যে টিকবে না লিখে  দেওয়া যায়।

২। উল্কার সাথে ক্র্যাশ করে: আশেপাশে উল্কা টুল্কা কম নাই, কয়েক কোটি বছর পরপর একটা করে পরে আর জীবজগৎ ধ্বংস হয়।  আমাদের অনেক ভাগ্য ভালো এখনো কোন বড় সাইজের উল্কা পৃথিবীতে পরে নাই । অ্যাপোফিস নামে একটা শয়তান উল্কা বেশ কয়েক বছর ধরে পৃথিবী ধ্বংসের তাল করছে,  ২০০৪ সালে এর হাত থেকে অল্পের জন্য পৃথিবী বেঁচে গেছে। ২০২৯ সালে নাকি আবার আসবে, এবারও বেঁচে যাওয়ার চান্স আছে। তারপর আসবে ২০৩৬এ। গুড লাক, আর্থলিংস, দেখি তোমরা কয়বার বাঁচো!

৩। ঝাঁঝরা হয়েঃ ডাইনোসর ধ্বংস হয়েছিল উল্কার বারি খেয়ে, আর অনেক বছর আগে কাছাকাছি সুপারনোভার এক্সপ্লশানে গামা রের ধাক্কা খেয়ে ধ্বংস হয়েছিল অর্দোভিসিয়ান যুগের জানোয়াররা। আশেপাশে ৭৫ আলোকবর্ষের মধ্যে আরেকটা সুপারনোভা বার্স্ট করলেই হয়, গামা রে এসে ফ্রাই করবে মনুষ্য প্রজাতিকে। ওজন স্তর একেবারে ধ্বংস করে দিবে, তারপর যা হওয়ার ক্যান্সারই করবে।
সমস্যা হলো এতো কাছে সুপারনোভা হওয়ার মতো তারা নাই, এইভাবে ফ্রাই করে আপনাদের মারার চান্স কম 🙁

৪। আজকে আর না। পরের পর্বে লিখবো।

বাট পোস্ট শেষ না। অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ক্যালেন্ডার যেমন আছে, ডুমস ডে ক্যালেন্ডারও আছে। এই ক্যালেন্ডার সবাই বাসায় একটা টাঙ্গায় রাখা উচিত। হাজার হাজার বছর ধরে হাজার হাজার মনীষী একেবারে তারিখ নির্দিষ্ট করে ডুমস ডের ভবিষ্যতবাণী করে এসেছেন, সামনেও আসবেন। কারটা ফলে যায় দেখা যাক!

২০১৯ সালের জুন মাস পৃথিবী ধ্বংস হবে। কে বলেছেন? রোনাল্ড উইনল্যান্ড বলেছেন। উনি এই ব্যাপারে একজন বিশেষজ্ঞ। এই নিয়ে তিনি তিনবার বলে এসেছেন পৃথিবী ধ্বংস হচ্ছে, একবার ২০১১তে , তারপর ১২তে, তারপর ১৩তে। বুঝাই যাচ্ছে, ওনার মতামত গুরুত্বের সাথে না নিলে খবর আছে।

২০১৯ সালে না হলেও ২০২০ সালে নিশ্চিত ধ্বংস হবে। এটা বলেছেন জিন ডিক্সন, বিখ্যাত সাইকিক, ক্রিস্টাল বলের সম্রাগ্নি, ১৯৬২ সালে পৃথিবী ধ্বংসের প্রবক্তা।

আরও বলতে হবে? নেক্সট ডেট ২০২৬। তারপর ২৯।

ভালো থাকবেন।
সরি, ধ্বংস হোন।

One thought on “ডুম”

  • মাহাতাব মাহাদী

    ২০২১ সালে একটা গ্রহানু দ্বারা ধবংস হওয়ার কথা ছিল না? ওটার কি হল??😕😕

Leave a Reply