রাত গভীর।
আটত্রিশ বছর বয়সের ম্যারি রেমন্ড বরাবরের মতই জেগে উঠলেন। আজকে আবার কেউ তাঁর নাম ধরে ডেকে তুলেছে। তাঁর হাত কাঁপছে। বুক ধুকধুক করছে। যে কন্ঠ্যস্বর তাঁর নাম ধরে ডাকে সেটা স্পষ্ট, জোরালো আর ক্লিয়ার। হিম হিম শীতল গলাটা ম্যারি রেমন্ডের কানে বাজে ঝিম ঝিম করে।
ম্যারি রেমন্ড উঠে বসলেন। একটু পানি খেয়ে নিজেকে ধাতস্থ করলেন। তারপর ছিটকিনিটা আস্তে খুলে বেরিয়ে এলেন ঘর থেকে। কি দেখবেন তিনি জানতেন। তার পরও আকর্ষণ এড়াতে পারেন না।
দরজার ওপাশে আগের মতই ঘন ঘোর অন্ধকার। কেউ দাঁড়িয়ে নেই তাঁর জন্য। দরজার ওপাশে তাঁর অপেক্ষায় দাড়িয়ে নেই কোন অতৃপ্ত আত্মা।

এই ঘটনার নাম হচ্ছে এক্সপ্লোডিং হেড সিন্ড্রোম। ব্রেইনের ভেতর কর্টেক্সে এলোমেলো সিগ্ন্যালের জন্য হয়। ম্যারি রেমন্ড কখনো শুনতে পান তীব্র স্বরে কেউ তাঁর নাম ধরে ডাকছে। কখনো ঝনঝন শব্দে ভেঙ্গে পরে বাসন পত্র। কখনও অনুভূতি হয় তীব্র আলোকচ্ছটার। কখনও জানালার উপর আছড়ে পরে ঢিল, কিন্তু জেগে উঠলে দেখা যায় ওপাশে কেউ নেই।
অনুভূতিটা ভয়ানক হলেও, এটা সাধারণত ক্ষতিকর নয়।