বউ
মিনি মন্সটার্স চার
১।
ছেলে বড় হয়েছে, বিয়ে শাদী দরকার। ঝামেলা হচ্ছে, ছেলে একটু বেশি লাজুক, প্রেম ফ্রেম করে নাই। এখন বাবা মাকে হন্যে হয়ে মেয়ে খুঁজে বেড়াতে হচ্ছে।
লাজুক হলে কি হবে, ছেলে কিন্তু দেখতে শুনতে ভালই, কয়েকদিন আগে ভার্সিটি থেকে বেড়িয়েছে। চাকরি এখনও পায় নি, তাতে কি, দুইদিন পরেই কপালে জুটবে একটা, লেখাপড়ায় ছেলে খারাপ না। আকালের বাজার, এমন ছেলের জন্য মেয়ে পাওয়া যায় না!
অবশেষে অনেক খুঁজে এক মেয়ের সন্ধান পাওয়া গেল। মেয়ের চেহারা সুরত সেই, এতদিনও তার বিয়ে শাদী হলো না কেন সেটাই রহস্য। ছেলের মামা এখানে ওখানে খোঁজ খবর নিলেন, কথা সত্য – বিয়ে শাদী দূরে থাক মেয়ের একটা বয়ফ্রেন্ডও নাই। কাহিনী হচ্ছে, মেয়ে একটু বেশি প্র্যাক্টিক্যাল। বিজনেস মাইন্ডের মেয়ে। ভার্সিটি লাইফ থেকে এটা ওটা ব্যবসা করে গাড়ি পর্যন্ত কিনে ফেলেছে।
রূপে গুণে সবদিকে ঝাক্কাস একটা মেয়ে, আবার বিয়েতেও রাজি, ছেলের পরিবার আর না করলো না। বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো।
২।
বাসর রাতের পর ছেলে আর বাড়ি ফিরল না। আসলে আর কোনদিনই ফিরল না।
চাল চুলোহীন সুন্দর ছেলেকে নিজের কামাইয়ের ভাগ দেওয়ার পাত্রী মেয়ে নয়। সে খুবই প্র্যাক্টিক্যাল।
স্বামী কিভাবে সবচেয়ে বেশি কাজে আসতে পারে তার জানা আছে।
ভালবাসা-বাসির পর স্বামীকে হত্যা করে, কেটে কুটে তার মাংস ফ্রিজে ঢুকালো বউ।
প্রেয়িং ম্যান্টিসের মাংসের পুষ্টিগুণ অনেক। এই মাংস সে নিজে খাবে, খেয়ে পাবে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড। তারপর তার থেকে তার ডিম পাবে সেই পুষ্টি।
ম্যান্টিস বউ ভারি প্র্যাক্টিক্যাল, কোন ধরণের ফালতু আবেগের মধ্যে সে নেই!
