প্রোজেক্ট রেজারেকশন



প্রোজেক্ট রেজারেকশন
ডাইনোসরদের আবার ফিরিয়ে আনা কতটুকু সম্ভব?

জুরাসিক পার্ক/ ওয়ার্ল্ড কি পুরোটাই কল্পনা নাকি এর মধ্যে কোন বাস্তবতাও আছে?

শুরু করছি, আজকের গল্প। রেজারেকশন : পুনরুত্থান।

২২ কোটি বছর আগে ডাইনোসররা প্রথম পৃথিবীতে আসে। সাড়ে ৬ কোটি বছর আগে তারা ধ্বংস হয়।

মাঝখানে ১৪ কোটি বছর তাদের রাজত্বের ইতিহাস।

১৪ কোটি বছর অনেক অনেক লম্বা সময়। homo sapiens পৃথিবীতে এসেছে মাত্র লাখখানেক বছর আগে।

এই ১৪ কোটি বছরে তারা রেখে গেছে হাজার হাজার ফসিল।

পায়ের ছাপের ফসিল।

হাড়ের ফসিল।

এমনকি  আস্ত ডাইনোসরের ফসিল। কখনও চামড়া সহ ফসিল। ডিমের ভেতর বাচ্চার ফসিল।

এই ফসিলগুলোর বেশিরভাগেই জৈব অংশ বাইরের মিনারেল ঢুকে নষ্ট হয়ে যায়। অল্প কিছু ফসিলে নষ্ট হয় না। আজকের গল্প, ওইসব ফসিলের।

১।

জুরাসিক পার্কের কাহিনী।

৭ কোটি বছর আগে। ক্রেটাসিয়াস যুগ। মশা মাছি আর পোকামাকড় ভরা জঙ্গল। ডাইনোসরের রক্ত খেয়ে একটা মশা বসল পাইন গাছের ডালে। পেট ভরে রক্ত খেয়ে ঝিমুনি এসেছিল তার। কখন যে গাছ থেকে আঠালো রস গড়িয়ে পড়ল, খেয়াল করেনি।

রসে ডুবে মারা গেল মশা। পেটে রয়ে গেল ডাইনোসরের রক্ত।

রস জমে শক্ত হয়ে হল অ্যাম্বার। অনেক অনেক বছর পর ওই অ্যাম্বার হাতে পেলেন বিজ্ঞানীরা। বের করলেন মশার রক্ত। ওই রক্তে পাওয়া গেল ডাইনোসরের DNA । ওই DNA থেকে তৈরি হল নতুন ডাইনোসর।


এই গল্প কতটুকু সত্যি? আসলেই কি ওইভাবে ডাইনোসর তৈরি সম্ভব?

চলুন দেখে আসি।

অ্যাম্বার আসলে আছে?

আছে।

ভেতরে ডাইনোসরের যুগের মশা আসলে পাওয়া গেছে?

পাওয়া গেছে।

মশার পেটে ডাইনোসরের রক্ত পাওয়া গেছে?

সেটাও পাওয়া গেছে।

রক্তের ভিতর DNA পাওয়া গেছে?

না। DNA বাইরে থেকে কিছু না ঢুকলেও  কিছুদিন পর নষ্ট হয়ে যায়।

ডাইনোসরের আস্ত DNA পাওয়ার আশা খুবই কম। হতাশ করার জন্য দুঃখিত।

২।

আর কি কোন উপায় নেই?

আছে। নতুন করে ডাইনোসর বানানো। একে বলে রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং।

ডাইনোসরের সরাসরি বংশধর হল পাখি। পাখির মধ্যে ডাইনোসরের রক্ত বইছে।

পাখির শরীরে আছে শক্ত চোয়ালের জিন। দাঁতের জিন। লেজের জিন।

এইসব জিন টার্ন অফ হয়ে আছে।

আস্তে আস্তে ভ্রূণ গঠনের সময় এদের টার্ন অন করতে হবে। তখন মুরগির শরীরে লেজ গজাবে। থাবা জন্মাবে। দাঁত হবে।

চিকেন হবে চিকেনোসরাস।

তারপর তাকে মিউটেট করতে হবে, আস্তে আস্তে  সাইজ বড় করতে হবে।

তারপর বানাতে হবে জুরাসিক পার্ক। তারপর কি হতে পারে, আমরা অলরেডি জানি।

৩।

ডাইনোসর তো অনেক আগের কথা। হাতির মতো দেখতে উলি ম্যামথ তো সেদিনের গল্প।

মাত্র চার হাজার বছর আগে পৃথিবীতে হেটে বেড়াত।

ম্যামথের হাড় আছে।

শুকনো লাশ আছে।

লাশের মধ্যে মাংস আছে।

বরফে জমে মমি হয়ে থাকে বরফ যুগের ম্যামথ।

ম্যামথের ভাঙ্গা ভাঙ্গা DNA পাওয়া গেছে। হাতির DNA র সাথে জোড়া দিয়ে তৈরি  হচ্ছে ম্যামোফ্যান্ট।

আর বেশি বাকি নেই 🙂

https://www.deseretnews.com/article/900022290/scientists-say-they-can-re-create-dinosaurs-within-the-next-five-years-we-know-how-this-ends.html

https://www.digitaltrends.com/cool-tech/harvard-woolly-mammoth-2018-update/

One thought on “প্রোজেক্ট রেজারেকশন”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *